ফড়িং ওডোনাটা বর্গের অন্তর্গত এপিপ্রোকটা উপ-বর্গের, আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে ইনফ্রাঅর্ডার এনিসোপ্টেরার একটি পতঙ্গ। ফড়িং এর বৃহৎ যৌগিক চোখ, দুই জোড়া শক্তিশালী ও স্বচ্ছ পাখা এবং দীর্ঘায়ত শরীর দ্বারা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। বসে থাকার সময় এদের পাখা অনুভূমিক এবং শরীরের সাথে সমকোনে থাকে। ফড়িং এর অন্যান্য পতঙ্গের মতো ছয়টি পা থাকলেও এরা হাঁটতে পারে না, এদের পা কাঁটাযুক্ত এবং ডালপালায় বসার উপযোগী। ফড়িং এর মাথা বড় এবং ইচ্ছেমতো ঘুরানো যায়।
ফড়িং মশা এবং অন্যান্য ছোট-ছোট পোকামাকড় যেমন: মাছি, মৌমাছি, পিঁপড়া, প্রজাপতি ইত্যাদি খেকো গুরুত্বপূর্ণ শিকারীদের একজন। এদের সাধারণতঃ পুকুর, হ্রদ, ঝর্ণা এবং জলাভূমির আশেপাশে পাওয়া যায়, কারণ এদের লার্ভা, যা কিনা নিম্ফ হিসেবে পরিচিত হল জলজ।
নিম্ফ আক্রান্ত হলে ব্যাথা-উদ্রেককারী কামড় বসাতে পারে। সেক্ষেত্রে দংশিত স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত, না হলে তা ফোস্কার আকার ধারণ করে রোগসংক্রমণ করতে পারে। সূত্র: উইকিপিডিয়া
ঘাসের পাতায়, ঝোপের গাছে নানা রঙের ফড়িংয়ের আসর। কোনোটা উড়ছে, কোনোটা বসছে। এতে প্রকৃতিতে তৈরি হচ্ছে চোখ কাড়া রং-তুলির আচড়।
সম্প্রতি বড়লেখার কাঁঠালতলি এলাকা থেকে ছবিগুলো তুলেছেন এ.জে লাভলু।