সিলেট থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় সিলেট শাহজালাল মাজার জিয়ারত শেষে ঐ এলাকায় সিলেট-১ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদিরের সমর্থনে গণসংযোগ করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। এসময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ড.কামাল হোসেন। শুরুতেই তিনি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, প্রতিদিনই ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ব্যপক ধরপাকড় করছে পুলিশ।
এ সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মালিক যে জনগণ তাদের মালিকানা থাকে না। জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতা থাকে না। স্বাধীনতার লক্ষ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকবো। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ সকালে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন। দুই নম্বরি করতে দিবেন না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবো আমরা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি কোন অবস্থাতেই নির্বাচন বর্জন করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন বর্জনের কোন সম্ভাবনা নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছিলো, আছে, থাকবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট মাঠ ছাড়বে না।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা- আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দুপুরের আগেই মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরীক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। সে সময় মাজারের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মাজার জিয়ারতের পর ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট একটি দল সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকায় ও আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে অপর একটি দল সিলেটের জৈন্তাপুরের বটতলা এলাকায় গণসংযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন ঐকফ্রন্ট নেতারা।
ড. কামাল হোসেন বুধবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
তাঁর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান এসেছেন।
এরআগে সিলেটে এসে পৌঁছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আব্দুর রব ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।