শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট-১ আসন: মুহিতের ‘না’ আওয়ামী লীগ মানে না



বিজ্ঞাপন

সাত্তার আজাদ:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথা কমছেনা। সরকার গঠনে মরিয়া হয়ে থাকা দলটি সিলেট-১ আসন কোনোভাবে হাতছাড়া করতে চাইছেনা। কেননা পূণ্যভূমি সিলেট-১ আসনের প্রার্থীর উপর সরকার গঠন অনেকটা অলৌকিক বিষয়। কথিত আছে সিলেট-১ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন সে দলই সরকার গঠন করে। এমনটা রীতিমত ধারাবাহিক অলৌকিক রেওয়াজে পরিণত। তাই দলের নেতাকর্মী মনে করেন- এবারের নির্বাচনে আসনটি উদ্ধার করতে হলে প্রার্থী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিকল্প নেই। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিতে দলটি একবার ফরাস উদ্দিনের কথা চিন্তা করেছিল। কৌশলগত কারণে পরে তাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করার জন্য বলা হয়। আর এমনটি করার পেছনে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে হাতছাড়া না করার কারণ বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন।

সরকারের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনেক দিন থেকে নির্বাচন না করার কথা বলে আসছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে মনোনয়ন সংগ্রহের দৌঁড়েও নিজেকে পাশে সরিয়ে রেখেছিলেন। নিজে থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের আগ্রহ দেখাননি। তবে দলীয়ভাবে তাঁর মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয় বলে দাবি নেতাকর্মীদের। পাশাপাশি নিজ আগ্রহে ভাই ড. একে আব্দুল মোমেনকে দিয়ে নির্বাচন করাতে সিলেট-১ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করিয়ে ছিলেন। কিন্তু দলটি কখনই মুহিতকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে দিতে চাইছে না।

এদিকে নির্বাচন থেকে পিতা সরে দাঁড়ালে আবুল মাল আবদুল মুহিতের পুত্র সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠজনের। আবার ঘনিষ্ঠজনের আরেক অংশের চাওয়া হল- মুহিত নির্বাচন না করলে এই আসনে প্রার্থী হবেন মোমেন। আর আওয়ামী লীগ চায় মুহিতকে। এ নিয়ে জটিল সমিকরণে সিলেট-১ আসনকে ঘিরে দলটির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন- মোমেনকে দিয়ে যেহেতু আসনটি উদ্ধার করা কষ্টসাধ্য। তাই আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচন করে আসন জিতলে পরে ভাই মোমেনকে নিজের স্থলাভিসিক্ত করে নিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।