
তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দিন-দুপুরে কীভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের স্যানিটারি শেডে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদন্ত ছাড়া এই মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। অবশ্য গ্যাস লাইন বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। অগ্নিকান্ডের কারণ উদ্ঘাটনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বড়লেখা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় ভবনের দক্ষিণ দিকের স্যানিটারী শেডের পাশ দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ২০-৩০ ফুট উপর পর্যন্ত উঠে যায়। আগুনের উত্তাপ ও কালো ধোঁয়ায় উপজেলা চত্ত্বর ও আশপাশ এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে আসা লোকজন এবং পথচারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউএনও তাহমিনা আক্তার ও থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অস্থায়ী শেডসহ সেখানে রাখা ১৪টি ভিআইপি মোবাইল টয়লেট, ১ হাজার লিটারের ৫টি পানির ট্যাংক ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জানান, ঘটনার সময় তিনি ও উপজেলার প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা তারুণ্যের উৎসবের একটি বির্তক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে আসেন। কেউ হতাহত হয়নি। কীভাবে আগুন লেগেছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে যেখানে আগুন লেগেছে, এর কয়েক ফুট দূরে গ্যাস লাইন রয়েছে। আগুনে বিভিন্ন প্রকল্পের ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। ঘটনা তদন্তে ইউএনও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম মোল্লা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত ছাড়া তা বলা সম্ভব না।