এ.জে লাভলু:: চলমান কোটা আন্দোলন ও কারফিউর কারণে গত কয়েকদিন সবকিছু বন্ধ থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। তবে বুধবার থেকে চলমান কারফিউ পরিস্থিতি আরও শিথিল করেছে সরকার। এতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। কারণ বুধবার বিভিন্ন অফিস-আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিপণীতান খুলেছে। যানবাহন চলাচলও আগের চেয়ে বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় বেড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কারফিউর শিথিল হওয়ায় পৌরশহরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিপণীতান খুলেছে। আগের তুলনায় শহরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দোকানে মানুষজন বেশি ভীড় করছেন। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। তবে শহরের বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতারা না থাকায় বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন। শহরে যান চলাচল বেড়েছে।
কয়েকজন মুদি দোকানদার জানান, কারফিউ পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় তারা দোকানপাট খুলেছেন। তাদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বিকিকিনি ভালো হচ্ছে।
নুরজাহান শপিং কমপ্লেক্সের বোরকা গ্যালারীর স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন জানান, চার-পাঁচদিন পর দোকান খোলেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। মানুষজন কাপড়ের চেয়ে নিত্যপণ্য বেশি কিনছেন।
সাধারণ মানুষ জানান, পাঁচদিন ধরে তারা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন। কারণ চলমান কোটা আন্দোলন ও সারা দেশে কারফিউ জারির কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। দোকানপাট বন্ধ ছিল। যানবাহনও বন্ধ ছিল। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তারা খুব একটা বাইরে বের হননি। সবসময় তারা একধরনের চাপা আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। তবে কারফিউ পরিস্থিতি শিথিল করায় তারা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। তারা চান সবকিছু যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বলেন, বড়লেখায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে এখনও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে।