লাতু ডেস্ক: সিলেটে সুরমা নদীর পানি গতরাতে কিছুটা কমলেও রোববার সকাল থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে। রোববার সন্ধ্যায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পবাহিত হচ্ছে।
কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার শনিবার দুপুর থেকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল। তবে রোববার সকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার নিচে নেমে যায়। কিন্তু সকাল ৯টার পর থেকে নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে ফের সুরমার পানি ফের কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিল ১২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। রোববার সকাল ৬টায় তা নেমে ১২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার হয়েছিল। আবার আজ সন্ধ্যা ৬টায় পানি বেড়ে ১২.৮৬ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর পানি কানাইঘাটে .১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে শনিবার ৯ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ৯.৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে মশনিবার ছিল ১১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। আজ সন্ধ্যা ৬টায় নদীর ওই পয়েন্টে ১১ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার সেখানে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে। আজ সসন্ধ্যায় ৬টায় নদীর ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারি নদীর সারীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে রোববার সন্ধ্যায় ৬টায় ১১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ধলাই নদের ইসলামপুর পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে অবহিত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।