লাতু ডেস্ক:: সিলেট নগরীর পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশন নিয়ে বুধবার ৪ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৬০০ ব্যক্তিকে আসামি করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপির) জালালাবাদ থানায় মামলা হয়েছে। জালালাবাদ থানার এসআই রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
বুধবার বিকেলে পানি নিষ্কাশন নিয়ে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কের পাশের মইয়ারচর, নয়া খুররমখলা, নাজিরেরগাঁওয়ের লোকদের সঙ্গে সোনাতলা গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০-৪০ জন লোক আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এর আগে ওই দিন দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার প্রতিবাদ ও পানি নিষ্কাশনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে চার লেনের সড়কের কাজ চলায় রাস্তার মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সে কারণে চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির কারণে বুধবার সকালে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সময় পানি নিষ্কাশনের জন্য সওজের লোকজন রাস্তা কাটতে চাইলে বাধা দেন সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দারা। ওই সময় তাঁদের সঙ্গে মইয়ারচর, নয়া খুররমখলা ও নাজিরেরগাঁওয়ের বাসিন্দাদের প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন আহত হন।
এসএসপির উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, সংঘর্ষকালে ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার মামলা হয়েছে। এতে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া গ্রামগুলোর ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।