শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

চালু হলো সিলেটের আরেকটি স্থলবন্দর



বিজ্ঞাপন


লাতু ডেস্ক: গোয়াইনঘাটের তামাবিলের পর চালু হলো সিলেটের আরেকটি স্থলবন্দর। বুধবার বিয়ানিবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের উদ্বোধন করা হয়। স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় এ স্থল বন্দরের উদ্বোধন করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের অর্থায়নে নির্মিত শেওলা স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। ২২ একর জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, দুটি ওয়্যারহাউজ, মাল্টি এজেন্সী সার্ভিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও বিশ্রামাগার, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।

‘শেওলা স্থলবন্দর’ এর বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি এলাকা। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, ফল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, রাসায়নিক সার, চায়লা ক্লে, কাঠ টিম্বার, চুনাপাথর, কোয়ার্টজ, ফুল আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প তথা তাঁতপণ্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফলমূল, শুঁটকিমাছ, সাতকড়াসহ অন্যান্য পণ্য।

এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্য আসাম রাজ্যের সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সহজে, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে প্রতিবেশী দেশের সাথে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এর ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে বিপুল গতি সঞ্চার হবে। বন্দর কেন্দ্রিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

স্থলবন্দরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে । বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে । তারা একবার আমেরিকা যায়, আরেকবার বিভিন্ন দূতাবাসে যায়। বিভিন্ন দূতাবাস গিয়ে কোন লাভ হবে না। বিএনপি যতই হাঁসফাস করুক না কেন, কোন লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিত করবে আগামী দিনে কে ক্ষমতায় যাবে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে কিনা; ২০৩০ সালে উন্নয়নের ভিত্তির উপর দাঁড়াবে কিনা, আগামী প্রজন্মের মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব তৈরি হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে হবে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা এ দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বাংলার মানুষ এটি মানবে না। তিনি বলেন, জাতির পিতার নিরন্তন প্রচেষ্টা ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় ‘শেওলা স্থলবন্দর’ একটি।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।