নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইটকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আরো ৩ জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টায় বরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু এবং সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম।
সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বরমচাল ইউনিয়নে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭.(১১) উপধারাটি ভঙ্গ করে দলীয় মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করায় চরমচাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (৫-নং) খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইটকে স্বীয় পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে প্রেরণ করা হলো।
এছাড়াও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বাদশা মিয়া, পারভেজ আহমদ এবং ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহিব আলী রাজাকে স্বীয় পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নিকট কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলীয় প্রতীক ও প্রার্থীর বিরোধী হয়ে আওয়ামী লীগ করার কোন সুযোগ নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর বরমচাল ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে নৌকার জয় সুনিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে খোরশেদ আহমদ খাঁন সুইট জানান, আমাকে তারা (উপজেলা আওয়ামী লীগ) বহিষ্কার কি করবেন? আমাকে তারা ভর্তি করেছেন? আমিত রিসিট কেটে আওয়ামী লীগে ঢুকি নাই। আমি মৌরশী সূত্রে আওয়ামী লীগ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু আমার মূখের স্লোগান। মুজিব কোর্ট আমার গায়ে এখনো আছে, মৃত্যুর আগ অবধি থাকবে।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে সুইট খাঁন বলেন, আমার অবধান আওয়ামী লীগে আছে কি-না? আমার বাবার অবধান আওয়ামী লীগে আছে কি না তা জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জবাব দিবে। তাদের (উপজেলা আওয়ামী লীগ) এর প্রার্থী বাছাই সঠিক কি না তাও আগামী ১০ তারিখ জনগণ সিদ্ধান্ত জানাবে।
উল্লেখ্য, বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আহবাব হোসেন চৌধুরী শাহজাহান গত ১৮ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়।