হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেকার আহমেদ চৌধুরী এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শফিউল ইসলামকেও ‘সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
হবিগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই নগদ প্রণোদনার তালিকায় এক মোবাইল ফোন নম্বরের বিপরীতে একাধিক নাম দিয়েছিলেন।
“এর মাঝে একটি নম্বরে ৯৯ জন, একটিতে ৯৭ জন, একটি ৬৫ জন ও একটি ৪৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এসব মোবাইল নম্বর চেয়ারম্যানের আত্মীয় ও ঘনিষ্টদের।
“আবার একটি ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু পরিবার বসবাস না করলেও সেই ওয়ার্ডের তালিকায় তিন জন হিন্দু ব্যক্তির নামও ছিল।”
এছাড়া অনেক বিত্তশালীর নাম এবং স্বামী-স্ত্রীর নামও এসেছে এ তালিকায় বলে জানান তিনি।
বরখাস্তের প্রঙ্গাপনে উল্লেখ করা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ স্থানীয় তদন্তের প্রমাণিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এর ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেকার আহমেদ চৌধুরী অপর এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের অভিযোগ ‘প্রমাণ হওয়ায়’ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিউল ইসলাম তফসিরকেও ‘সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’