মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টিলাগাঁও রেলস্টেশন চালুর দাবিতে আন্তঃনগর দু’টি ট্রেন আটকে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আগামী ১০ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একই স্থানে ট্রেন আটকানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুস ছালাম চৌধুরী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দশ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এক মানববন্ধন করে। টিলাগাঁও ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠন টিলাগাঁও স্টেশন এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী জালালাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ট্রেন আটকে রেখে প্রায় ১০ বছর ধরে বন্ধ থাকা টিলাগাঁও রেলস্টেশন চালু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আব্দুস ছালাম চৌধুরী। নাগরিক সমাজের সদস্য সেলিম আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
আব্দুস ছালাম চৌধুরী তার বক্তব্যে কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে- স্টেশনটি পুনরায় চালু করা, পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ, সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দু’টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থাসহ স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোকবলের অভাবে ২০০৯ সালের দিকে টিলাগাঁও রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ রেলস্টেশন দিয়ে লোকাল ও মেইল ট্রেনে উপজেলার রাউৎগাঁও, টিলাগাঁও ও হাজীপুর ইউনিয়নের লোকজন বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতো। এছাড়া আশপাশের লংলা ও তারাপাশা চা-বাগানের চা এ স্টেশন দিয়ে ট্রেনে করে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো।
টিলাগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক বলেন, টিলাগাঁও রেলস্টেশন পুনরায় চালুসহ স্টেশনে ডেমু ট্রেনের স্টপেজের ব্যাপারে ২০১৫ সালে প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে চিঠি দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রেল অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিত নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।