হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফাতেহা বেগম (২৫) নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
৮ জুলাই সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হালিম উল্ল্যা চৌধুরী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুনা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজু মিয়া, একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের আব্দুন নুরের ছেলে আব্দুল মন্নাফ, একই গ্রামের বাজনা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ও বাসডর গ্রামের মখলিছ মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আল আমিন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, ২০০২ সালের ২০ আগস্ট দণ্ডপ্রাপ্তরা জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের আরব আলীর কন্যা ফাতেহা বেগমকে (২৫) জোরপূর্বক ধরে নিয়ে রাতভর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পাশের বরাক নদীতে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন রওশন আরা বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তৎকালিন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।