বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ীতে লাশ আর রক্তে দখলমুক্ত হলো সড়ক ও ফুটপাত!
জুড়ী প্রতিনিধি

জুড়ী প্রতিনিধি



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বাস চাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার পর শহরের সড়ক ও ফুটপাত কিছুটা হলেও দখলমুক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় শহরের লাইটেস স্ট্যান্ড এলাকায় বাস চাপায় ফল বিক্রেতা ইব্রাহিম আলী ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহত ইব্রাহিম আলী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মৃত আজফর আলীর পুত্র।

এরপর জুড়ী শহরের ফুটপাত ও সড়ক থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হয়।

শহরের সড়ক, ফুটপাত ও সেতুর উপর গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের পাশের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা দোকানের বিভিন্ন মালামাল দোকনের সামনের ফুটপাত এমনকি সড়ক পর্যন্ত দখল করে ছড়িয়ে রাখেন। তাছাড়া সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, অনেক মার্কেট মালিক ও স্থায়ী ব্যবসায়ী মাসোয়ারা নিয়ে নিজ দোকানের সামনে ফুটপাতে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসার সুযোগ করে দেন।


উপজেলা শহরের বাসিন্দা ও চলাচলকারীরা অভিযোগ করেন, শহরের রেল সেতু থেকে ডাকবাংলো, ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনী থেকে রেল ষ্টেশন সড়ক ও বিজিবি ক্যাম্প থেকে ফুলতলা সড়কের কামিনীগঞ্জ বাজার সেতু পর্যন্ত পুরো সড়ক ও সড়ক সংলগ্ন ফুটপাত বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, কার, টমটম, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের দখলে থাকে।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে জুড়ীর সকল পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সড়ক ও ফুটপাত থেকে মালামাল সরিয়ে দখলমুক্ত করার জন্য বিকেল চারটা পর্যন্ত সময় দিয়ে মাইকিং করা হয়। নতুবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ ঘোষণার পর শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকার বেশ কিছু অংশ থেকে দখলকারীরা মালামাল সরিয়ে নেয়। কিন্তু বিকেল চারটার পর আইনানুগ ব্যবস্থার বদলে আইন হাতে তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। শতাধিক পরিবহন শ্রমিক দলবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নেমে ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে হামলা-ভাঙচুর চালায়। তখন উৎসুখ জনতা মোবাইল ফোনে ভিডিও করলে উশৃঙ্খল শ্রমিকরা তাঁদের উপর হামলা করে কয়েকটি মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের কাজেও বাঁধার সৃষ্টি করা হয়। ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা চলাকালে কামিনীগঞ্জ বাজার এলাকার কিছু দখলকারীরা মালামাল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখা যায়।


এ বিষয়ে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন জুড়ীর সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকিম আহমদ বলেন, কিছু শ্রমিক অতি উৎসাহী হয়ে এ কাজ করেছিল, পরে তা বন্ধ করা হয়। প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে তিনটি শ্রমিক সংগঠন, দুই বাজার কমিটি ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে সভা করলে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।

ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন জুড়ীর সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। অনেক মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীরা মার্কেট ও দোকানের সামনের অংশ সড়ক ও ফুটপাতে হকার বসিয়ে ভাড়া আদায় করছেন। আমরা চাই সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত হোক, পথচারী ও শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে চলাচল করুক।

সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিউর রহমান চুনু বলেন, মাইকিংয়ের বিষয়ে আমি বা আমার সংগঠন অবগত নয়। হামলা ভাঙচুরের সাথে কোনো সিএনজি শ্রমিক জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।