আসন্ন জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর ১০ জনই আওয়ামী ঘরানার।
এই ১০ প্রার্থীকে কেন্দ্র করে দশ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী পরিবার। এমনিতেই এখানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোতে পৃথক দু’টি গ্রুপ বিবদমান। তার ওপর উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্রিক বিভক্তির পরিধি বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা নির্বাচন শেষ হবার পরেও এই বিভক্তি থেকে সৃষ্ট তিক্ততা দীর্ঘ দিন বহাল থাকবে বলে দলীয় নেতা কর্মীরা জানান।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দেবার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। শুধু চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় হয়। আর এ সুযোগে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান গুলশান আরা মিলি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
অপরদিকে আনারস প্রতীক নিয়ে হল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ও ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস, বই প্রতীকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমদ, মাইক প্রতীকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম জাকারিয়া, চশমা প্রতীকে আওয়ামী পরিবারের মোঃ শামীম আহমদ ও সুমন্ত বাউরী তালা প্রতীকে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেত্রী রনজিতা শর্মা একক প্রার্থী হলেও বছর খানেক আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া শিল্পী বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে উল্লেখিত দশ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আনজুমানে আল ইসলাহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আজিবুন খানম (কলস) এর পক্ষেও বেশ কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। তবে যেহেতু সকল প্রার্থীই আওয়ামী ঘরানার সেহেতু দলের অধিকাংশ কর্মী সমর্থকরা এখনও নীরব থেকে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন। শেষ পর্যায়ে যার পাল্লা ভারী হবে সে দিকেই তাঁরা ঝুঁকবেন।
সারাদেশে পঞ্চম হলেও জুড়ী উপজেলায় তৃতীয় বারেরমত দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।