রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

উপজেলা নির্বাচন: বিয়ানীবাজারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সক্রিয়



বিজ্ঞাপন

শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ এখনো কাটেনি। গত হওয়া নির্বাচন নিয়ে এখনো সর্বত্রই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এ ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াত কিংবা জাতীয় পার্টি থেকে রাজনৈতিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ নড়েচড়ে বসেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাচনের জন্য। সাধারণ জনমনেও উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

এদিকে বিয়ানীবাজারেও উপজেলা নির্বাচনের ঢামাডোল বাজতে শুরু করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ধীরলয়ে হলেও নিজেকে তৈরী করতে চাচ্ছেন। ছুটে বেড়াচ্ছেন পরিচিতজনদের মতামত জানতে। এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান। এর আগে একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন প্রয়াত আব্দুল খালিক মায়ন, মুজম্মিল আলী ও রুমা চক্রবর্তী।

সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে বেশ প্রতিযোগিতা করে জয়লাভ করতে হয়েছে। অল্পভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন। অবশ্য মূল ভোটের আগে দলীয়ভাবেও ভোটে জয়লাভ করতে হয়েছে আতাউর রহমান খানকে।

গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনিছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খছরুল হক, বিএনপি থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল মন্নান এবং জামায়াতে ইসলামী থেকে স্থানীয় আমীর ফয়জুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুছ টিটু বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত কিংবা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হবে আওয়ামী লীগকে। কারণ দলীয়ভাবে এ পদে নির্বাচন করতে অনেক শক্তিশালী প্রার্থী ইচ্ছাপোষণ করছেন। তাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেয়া দলটির শীর্ষস্থানীয়দের বেশ কঠিন হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া, বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়া, সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খছরুল হক খছরু, লাউতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ, জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল বারী, জাতীয় পার্টি থেকে সভাপতি আবুল হাসনাত, সহ সভাপতি আলকাছ আলী, বিএনপি থেকে (যদি নির্বাচনে অংশ নেয়) জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল মন্নান, বিএনপির সহ কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আহমদ রেজা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ, জমিয়ত-হেফাজত থেকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি শিব্বির আহমদ, জামায়াতে ইসলামী থেকে আমীর ফয়জুল ইসলাম ও পৌর আমীর মোস্তফা উদ্দিন প্রমুখ নির্বাচন করতে আগ্রহী।

বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের পিন্টু বলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নির্বাচন করবে কি-না তার উপর নির্ভর করছে দলীয় প্রার্থীর বিষয়টি। সুতরাং এখনই বলা যাবেনা আমাদের প্রার্থী বাছাই কিভাবে হবে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রুকসানা বেগম লিমা, রুমা চক্রবর্তী ও স্বাধীন সুন্দরী নির্বাচন করতে পারেন। অপর দিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন খসরু, আব্দুল খালিক, হুমায়ুন কবির, সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম নিপু, সাংবাদিক মিলাদ মো: জয়নুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাবন্দি গিয়াস উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন রুনু, ফয়সল আহমদ প্রমুখ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কাজ করছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা দেয়া হলেও আমাদের কাছে কোন লিখিত নির্দেশনা আসেনি। তবে আমাদের কাজ অনেক গোছানো আছে। লিখিত নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথে পুরোদমে প্রস্তুতি নেয়া হবে।