সিলেটের গোলাপগঞ্জে এসিল্যান্ডের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন সিলেট-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে ফয়সল চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জে সংঘটিত হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়ানো হচ্ছে। ‘স্থানীয় প্রশাসন শুরু থেকেই সিলেট-৬ আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে। প্রতিনিয়তই পুলিশ বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থীর সমর্থক কর্মীদের হয়রানি, গ্রেপ্তার ও মারধর করছে। বিএনপি প্রার্থীর টাঙ্গানো পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জের বইটিকর এলাকায় ধানের শীষের প্রচারে ব্যবহৃত সিনজিচালিত অটোরিকশা আটকিয়ে পুলিশ ভাঙচুর করে এবং প্রচারকর্মীকে মারধর করে। স্থানীয়ভাবে গণসংযোগকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা উস্কানিতে লাঠিপেটা করে। একইভাবে হেতিমগঞ্জ এলাকায় ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থীর পথসভা শুরু করতে গেলে স্থানীয় পুলিশ মারমুখি অবস্থান নিয়ে রাস্তা খালি করার কথা বললে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পুলিশের সাথে আলাপ করলে তারা সেখান থেকে চলে যায় এবং আমরা পথসভার কাজ শুরু করি। পথসভা শেষে আমরা সিলেট ফিরে আসি। কিন্তু রাতে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি সেখানে হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে নিয়োজিত গোলাপগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জি আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে এই হামলার সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িত মর্মে পুলিশের বক্তব্যও চোখে পড়ে।’
ফয়সল চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ধরণের সহিংস ঘটনার সঙ্গে আমার বা আমার কোনো কর্মী সমর্থকের সম্পৃক্ততা নেই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই আমাকে বিতর্কিত করতে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এটি ঘটিয়ে সিভিল প্রশাসন যাতে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সেই অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ফয়সল আহমদ চৌধুরী বিবৃতিতে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে সন্ত্রাসী যেই হোক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মিছিলের নামে মহড়া ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার বিষয়টি সামনে চলে আসে।’