শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে প্রার্থী নিয়ে চরম বিপাকে জোট-মহাজোট
ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট



বিজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে নিজেদের একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন সাধারণ ভোটার। বিষয়টি এখন তুমুল আলোচিত সমগ্র জেলায়। এ অবস্থায় এখানে জোটবিহীন উন্মুক্ত নির্বাচনের আশংকা করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের ১২ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ে গঠিত মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২৩ দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট (জাতীয় ঐক্যফ্রএর রয়েছে একাধিক প্রার্থী।

একদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী ও জাতীয়পার্টি’র (জাপা) আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক দাবি করছেন মহাজোটের মনোনয়ন। অন্যদিকে বিএনপির শেখ সুজাত মিয়া ও গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া দাবি করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন।

শুধু তাই নয়, মহাজোটের শরিক জাপার কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ অবস্থায় ‘কাকে রেখে কাকে বাদ দেবে’ এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে উভয় জোট।

স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ মনে করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামালের আশির্বাদে শেষ পর্যন্ত ড. রেজা কিবরিয়াই হতে পারেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। আবার অনেকেই মনে করেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে চমক দেখাতে পারেন শেখ সুজাত।

এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ মনে করে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীকেই শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রাখতে পারেন শেখ হাসিনা। যদিও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় নাম সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি কেয়া চৌধুরী। মাঠ পর্যায়ের সেই জরিপও রয়েছে শেখ হাসিনার হাতে। আবার স্থানীয় জাপার একাংশ মনে করে কেন্দ্রের বিশেষ আশির্বাদ নিয়ে মরণ কামড় দিবেন আতিক। যদিও স্থানীয় জাপার একটি বড় অংশ ‘বহিরাগত’ স্লোগান তুলে প্রকাশ্যেই বিরোধীতা করছেন আতিকের।

এ অবস্থায় স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, শেষ পর্যন্ত আসনটিতে ভেঙ্গে যেতে পারে জোট-মহাজোট। উন্মুক্ত নির্বাচন করতে পারে সকল দল। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন না পেলে ড. রেজা কিবরিয়া নির্বাচন করবেন কি-না সেটাও একটি বড় প্রশ্ন। মহাজোট ভেঙ্গে গেলেও অখন্ড থাকতে পারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ ক্ষেত্রে ছিটকে পড়তে পারেন শেখ সুজাত।

প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো গত ২৮ নভেম্বর বুধবার। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।