রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

‘ক্লিয়ারেন্স’ নিচ্ছেন সিলেটের জামায়াতের প্রার্থীরা
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের ডামাডোল বাজতেই সিলেটে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী শীর্ষ নেতারা। নিজেদের মামলাগুলোর দিক চোখ দেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে আর্থিক ক্লিয়ারেন্স নেওয়া শুরু করেছেন তারা।

মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক নেতা ব্যাংক, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোনের বকেয়া বিল পরিশোধের পাশাপাশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করছেন। অনেকে নিজেদের আয়কর নথিও আপডেট করছেন। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের কাছ থেকে মনোনয়নের ব্যাপারে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে এগুচ্ছেন।

নানান জল্পনা-কল্পনা শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোট- ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ২০ দলীয় জোট প্রায় ১০ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় নির্বাচন হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশনে একবার জোটবদ্ধ ও সর্বশেষ চলতি বছরের নির্বাচনে জামায়াত স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করেছিলো।

সিসিক নির্বাচনে জামায়াত বলেছিলো, জোট জাতীয় নির্বাচনের জন্য। স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ায় জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।

স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতের নিবন্ধনও সম্প্রতি বাতিল হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। এ কারণে দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়েও ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে তারা ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরীক বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে যেতে পারে।

সিলেটের ৬টি আসনে ২০ দলীয় জোট বরাবরই একটি আসন অর্থাৎ সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসন জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে। জামায়াতের অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমদ সিলেট আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদের টিকিটও পান। তবে এবারও জামায়াত সিলেটের ৬ টির মধ্যে ২ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসনে এবার নির্বাচন করতে চাইছে। জোটের কাছ থেকেও এ ব্যাপারে সম্মতিসূচক সাড়া পেয়েছে জামায়াত।

জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে যাচ্ছে। আমরা অতীতে সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছি। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও আমি সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছি। তাই এবার জোট থেকে সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে নির্বাচন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে কোন প্রতীকে নির্বাচন করবো তা এখনো বলতে পারছি না।

জামায়াত নেতাদের বিভিন্ন ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, সবাই তো ব্যক্তিগত ফাইল আপ টু ডেট রাখতে চান। আমি নিজেও বিদ্যুতসহ অন্য সংস্থা থেকে ক্লিয়ারেন্স সনদ নিয়েছি।

জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের প্রস্তুত করছেন। সকল কাগজপত্র আপ টু ডেট করছেন। কারো কোনো ধরণের ব্যংক ঋণ কিংবা গ্যাস বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকলে তা পরিশোধ করে ক্লিয়ারেন্স নিচ্ছেন।

অপরদিকে বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত জামায়াত নেতারা নিজেদের মামলা থেকে জামিন নিচ্ছেন। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে মামলা থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, আমাদের যারা প্রার্থী হবেন, তাদেরকে সব ধরণের অফিসিয়াল দেনা থেকে মুক্ত হয়ে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আমার জানা মতে জামায়াতের কোনো নেতাই ঋণখেলাপি নন। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিল বকেয়া থাকলে তা শোধ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া যারা বিভিন্ন মামলার আসামি, তাদের জামিনসহ আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সব কিছু এগুচ্ছে।