বাহরাইনে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দু’জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে বাহরাইনের সর্বোচ্চ আদালত ক্যাসাশন কোর্ট। মাত্র ৫০ টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই দুই ব্যক্তি বাংলাদেশি হারিস কানু মিয়াকে হত্যা করে। এরপর তার মৃতদেহ হামাদ শহরের আল লুজি হাউজিং প্রজেক্টে ইটপাথর ও সিমেন্টের নিয়ে সমাহিত করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজ অব বাহরাইন।
এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩রা আগস্ট নিহত কানু মিয়ার গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই বছর ১৬ই জুন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর থেকেই তদন্ত শুরু হয়। তারই সূত্র ধরে দু’জনকে আটক করা হয়।
তার মধ্যে একজন শ্রমিক। তার বয়স ২৯ বছর। অন্যজন পরিচ্ছন্নকর্মী। তার বয়স ২৬ বছর। তারা কোন দেশের নাগরিক তা বলা হয় নি। তবে তারা প্রসিকিউটরকে বলেছে, তাদের সঙ্গে একই রুমে তিন মাস ধরে থাকতেন কানু মিয়া। এতে তার বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় বাংলাদেশের টাকায় ৫০ টাকা। তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওদিকে নিহতের ফরেনসিক রিপোর্ট বলে যে, তাকে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর তার মুখের ভিতর কাপড় গুঁজে দেয়া হয়েছিল। টেপ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর তাকে প্রহার করে মারা হয়। এ হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত দু’ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত।
সোমবার সেই রায় বহাল রেখেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ফলে এখন আর জীবন বাঁচানোর কোনো বিকল্প পথ রইল না ওই দুই অভিযুক্তের।