সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫৫ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে ।
পুলিশ জানায়, গত ৩ নভেম্বর শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনা মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পরেও বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেবের বাসভবনে হামলার পরিকল্পনা করে। এ অভিযোগে ৫ নভেম্বর সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, ইউপি চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বলসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শনিবার রাতে ইউএনও তার ব্যক্তিগত সহকারী তাহিরপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকে ফোন করে ডেকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে চড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। পরে দুজন লোক এগিয়ে এসে সরিয়ে দিলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ওই ইউওএনওকে প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। নিরীহ মানুষদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিশে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত-বিএনপি চক্র। পরে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করে তারা। এতে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। সরকারি বাসভবনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।