মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ফারজানা জান্নাত রিমা (১৫) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গিরাই গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিমা ওই এলাকার বাসিন্দা ফাহিমা বেগমের মেয়ে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, রিমাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির কেয়ারটেকার দেলোয়ার ও নতুন ভাড়াটে বাবুল পলাতক রয়েছেন।
খবর পেয়ে এএসপি (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফের নেতৃত্বে জুড়ী থানার পুলিশ ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগের বাসিন্দা ফাহিমা বেগম (৩৫) এর স্বামী ফয়জুর রহমান এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ স্ত্রীকে রেখে আরেক বিয়ে করে অজানায় পাড়ি জমায়। ফাহিমা বেগম দুই সন্তানসহ জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী গ্রামের আতিকুর রহমান ময়নাকে বিয়ে করে দক্ষিণ জাঙ্গিরাইস্থ একটি বাড়িতে ৬/৭বছর থেকে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছেন। নতুন সংসারে ফাহিমার আরো তিনটি কন্যা শিশু রয়েছে। আতিকুর ২/৩দিন পর পর এখানে এসে থাকেন। ওই বাড়ির মালিক পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের বাসিন্দা মতই মিয়া কিছুদিন আগে পূর্ব-বাছিরপুর গ্রামের মজুর মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৩৫)-কে বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর দেলোয়ার বাড়ির একটি কক্ষ তারই বন্ধু বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দোহালিয়া গ্রামের সমছ মিয়ার পুত্র বাবুলকে ভাড়া দেন। ঘটনার আগের রাতে দেলোয়ার ও বাবুল ওই কক্ষে রাত্রিযাপন করেন।
এএসপি (কুলাউড়া সার্কেল) মো. আবু ইউছুফ বলেন, বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে রিমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি-না তা বলা যাচ্ছে না। কেননা, ঘটনার আলামতগুলো ধুয়ে ফেলা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া দেলোয়ার ও বাবুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।