ইতালিতে নতুন অভিবাসী আইন কার্যকর করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ আইনে দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ফলে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীসহ স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নতুন আইনে সন্ত্রাস যৌন হয়রানি, মানবপাচার ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। ইতালির বিভিন্ন শহরে আইন বাতিলের দাবিতে র্যালি, মিছিল করা হচ্ছে। গতকাল স্থানীয় ইতালিয়ানরাও এটি বাতিলের দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক সভা সমাবেশের আয়োজন করে।
যে কোন ছোট অপরাধের কারণে বৈধতা হারাতে পারেন অভিবাসীরা। বেশ কয়েক বছর যাবৎ ইতালিতে অভিবাসী সমস্যা চলছে। চলমান এ অভিবাসী সমস্যা সমাধান করতে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই অভিবাসীদের নতুন আইনের আওতায় এনে অপরাধ কমানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আইনে সন্ত্রাসবাদ যৌন হয়রানি, মানবপাচার ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আইন প্রণয়ন করে ইতালির সকল রোম ক্যাম্প বন্ধ করা। ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। নতুন আইন প্রসঙ্গে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার বলেন, সালভিনির আইনটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অবৈধদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
বাংলাদেশিদের জন্য খুব একটা সমস্যা হবে না কারণ ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বেশিরভাগ বৈধ। ইতালি অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান অষ্টম। এর মধ্যে ২০১৬ সালে বাংলদেশিদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার। ২০১৭ সালে কমে গিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার।
এর মধ্যে অনেকেই ইতালিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার পর লন্ডনে চলে গেছেন। গত এক বছরে ২০ হাজার বাংলদেশি ইতালি ছেড়েছেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে পাসপোর্টে নাম, জন্ম তারিখ অন্যান্য সংশোধনীর জন্য পাসপোর্ট দেয়া বন্ধ ছিল। সেই সমস্যা দূতাবাস অনেকটা সমাধান করেছেন।
সকলের অধিকার আদায় ও বর্ণবাদী আইন বাতিলের লক্ষে বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ও ধুমকেতুর কর্নধার নূরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু সকলের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে প্রতি রোববার একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।