ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটি ক্র্যাস ল্যান্ডিং থেকে বেঁচে গেছে। রক্ষা পেয়েছেন ফ্লাইটে থাকা ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিমানটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের কথা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।’
এ বিষয়ে জানতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলার ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটির সামনের নোজ হুইল কাজ না করায় পেছনের চাকাগুলোর ওপর ভর করে বিমানটি শাহ আমানতে অবতরণ করে। অবতরণের সময় বিমানটির সামনের অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে সব যাত্রী অক্ষত অবস্থায় বিমান থেকে নেমে আসতে সক্ষম হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ১৭১ জন যাত্রী ছিল। সামনের নোজ হুইল কাজ না করায় বিমানটি কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণে ব্যর্থ হয়। পরে বিমানটি চট্টগ্রামের আকাশে অনেক্ষণ উড়তে থাকে। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, বিমানটি ক্রাস ল্যান্ডিং করবে। তবে দুপুর দেড়টার দিকে পাইলটের দক্ষতায় বিমানটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে শুধু পেছনের চাকাগুলোর ওপর ভর করে ল্যান্ডিং করে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) কামরুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইটে ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু ছিল। তাদের সবাই নিরাপদে আছেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিলেন ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করান।