মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. আবুল হোসেনের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় মামলাটি করেন। মামলার দুদিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে শ্রমিকলীগ নেতা আবুল হোসেন চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. আবুল হোসেন উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হওয়ায় কারণে বিবাদীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এর কারণে বিবাদীরা তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন গত ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটায় বিবাদীরা আবুল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বিবাদীরা আবুলকে মারধর করতে থাকে। আবুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তার মেয়ে রুকশানা বেগম ও শ্যালকের স্ত্রী সুমেনা বেগমকে মারধর করে তাদের গলা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ড্রয়ারে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা ও আরও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার পাঁচদিন পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ এলাকার ইরফান আলীর ছেলে জালাল আহমদ সাদ্দাম, হিনাইনগর এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন, ইয়াকুব নগর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ ও একই এলাকার মাতাই মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, মহুবন্দ এলাকার আরফান আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিনের নাম উল্লেখ ও আরো ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।