শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা মারুফ শ্রীঘরে, জেল থেকে বেরিয়ে আবারও চুরিতে জড়িয়ে পড়ে



বিজ্ঞাপন

এ.জে লাভলু:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মোটরসাইকেল চুরির চেষ্টাকালে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা মারুফ হোসেন ওরফে সুমনকে ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তালুকদার। তিনি বলেন, মারুফ মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা। সাম্প্রতিক সময়ে বড়লেখা থেকে মোটরসাইকেল চুরি যাওয়ার সঙ্গে সে জড়িত রয়েছে।

তিনি জানান, কোনো মোটরসাইকেল চুরির আগে মারুফ মোটরসাইকেল মালিককে ফলো করত। পরে সুযোগ মতো তা চুরি করে নিয়ে যেত। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। এদের নাম সে পুলিশের কাছে বলেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন বলা যাচ্ছে না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বড়লেখা পৌরশহরের মসজিদ মার্কেটের সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল রাখা ছিল। এরমধ্যে রাখা উপজেলার বারইগ্রামের ওলিউর রহমানের ফ্যাশন প্রো মডেলের একটি মোটরসাইকেল লক খোলার চেষ্টা করেন মারুফ। এতে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তারা ‘চোর’ বলতেই সে দৌঁড় দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করে আটক করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে মারুফকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে মোটরসাইকেল মালিক ওলিউর রহমান বাদি হয়ে মারুফের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২জনকে আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার বিকেলে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামানের আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।

সূত্র জানায়, মারুফ ২০১৭ সালে ৯ ডিসেম্বর সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারে মোটরসাইকেল চুরির সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পড়ে। এর আগে আরও দুইবার বিয়ানীবাজার উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছিল মারুফ।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বড়লেখায় মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেল মালিকরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করলেও পুলিশ জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এতে মোটরসাইকেল মালিকরা অনেকটা ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তবে গত শুক্রবার মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা মারুফ আটক হওয়ায় তাদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মোটরসাইকেল চুর মারুফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।