বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সোনাই নদীর তীরবর্তী বোয়ালী-ভাটাউচি রাস্তার বেহাল দশা কিছুতেই যেন কাটছে না।। দীর্ঘদিন স্থায়ী কাজ না হওয়াতে বৃষ্টি নামলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
ঈদ পরবর্তী কয়েকদিনের হালকা বৃষ্টিতেই রাস্তাটি এখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, সিএনজি কিংবা মোটরসাইকেলে করে চলাচল করতে।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আরকান আলী সড়ক পর্যন্ত ৩ কি.মি. রাস্তা দুই ধাপে পাকাকরণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে সার্ভেও করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা জানা যায়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, বোয়ালী গ্রামের প্রধান রাস্তার মুখ থেকে গ্রামের শেষ মাথা পর্যন্ত ও ভবানীপুর গ্রামের রাস্তাটি কর্দমাক্ত। গোটা রাস্তা জুড়ে খানাখন্দে ভরা।পায়ে হেঁটে চলাচল করতে গেলে কাদাপানিতে একেবারে সয়লাব হতে হয়। বোয়ালী গ্রামের প্রায় সর্বত্রই রাস্তার এমন নাজেহাল অবস্থা। নদী তীরবর্তী হওয়াতে সরু এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, উত্তর শাহবাজপুর হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পরগনাহী দৌলতপুর সিনিয়র মাদ্রাসা, ইটাউরি মহিলা মাদ্রাসা, বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ও বিয়ানীবাজার মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকার অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘ্নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এলাকার অসুস্থ রোগীদের সময় মতো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আহমদ খান বলেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগে আমরা রাস্তা মেরামতের কাজ করেছি। ঈদ পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে। আমি আশা করছি শীঘ্রই পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।