মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাকালুকি হাওরপারের এক দরিদ্র কৃষকের ১২০টি হাঁস বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কৃষক থানায় মামলা করেছেন। উপজেলার বারহালি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে কালা মিয়া কয়েকজন সহযোগী নিয়ে হাঁসগুলো নিধন করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় ৩ বছর আগে একই কায়দায় ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে ওই কৃষকের আরো ৩০০ শ’ হাঁস মেরে ফেলে।
ভুক্তভোগী হাঁস পালনকারী কৃষক ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের দরিদ্র কৃষক রহমত আলী (৭০) হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মত তিনি পালিত আড়াইশ’ হাঁস হাকালুকি হাওরপারের জহিরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে বাঁশের বেড়ার ভেতর ঢুকিয়ে রাখেন। ভোরবেলা দেখেন ১২০টি হাঁস মৃত পড়ে রয়েছে। বেড়ার মধ্যে বিষ মিশ্রিত কিছু ধান পড়ে থাকতে দেখে নিশ্চিত হন কেউ বিষ প্রয়োগে হাঁসগুলো মেরে ফেলেছে।
কৃষক রহমত আলীর ছেলে জেনু মিয়া শনিবার বিকেলে জানান, কালা মিয়ার বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে। কখনও তাকে এ এলাকায় দেখা যায় না। অথচ ঘটনার আগের দিন বিকেলে সে হাঁসের গড়ের (বাঁশের তৈরী) পাশে ঘুরাফেরা করে। সে-ই হাঁসগুলো মেরেছে।
হাঁসের মালিক রহমত আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে শনিবার বিকেলে জানান, কালা মিয়ার সাথে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে এভাবে বিষ দিয়ে আমার ৩০০ হাঁস মেরে ফেলে। মামলা করেও কোনো সুবিচার পাইনি।
এ বিষয়ে বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর বলেন, পালিত হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগে রহমত আলী নামে এক কৃষক শুক্রবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।