সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সড়ক নিরাপদ করতে ৫ প্রকল্পের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
খবর: জাগো নিউজ

খবর: জাগো নিউজ



বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরের চারদিকে রিং রোড করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ রিং রোড এলিভেটেডেট করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে এলিভেটেড এক্সপ্রেস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পসহ ৫টি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একেএম রহমতুল্লাহর ( ঢাকা-১১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব প্রকল্পের কথা জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। স্থাপিত এলিভেটরগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনে সংযোগ দেয়া হবে। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ নদীতে নৌপথ এবং এরই পাড় ধরে ভবিষ্যতে রিং রোড করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ সময় সংসদে পাঁচটি প্রকল্পের তথ্য তোলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো-

(১) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সোনারগাঁও হোটেল, পলাশী, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র‌্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৫ সালের আগস্ট হতে এই প্রকল্পের পাইল ড্রাইভিং শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৯টি ওয়ার্কিং পাইল ড্রাইভিং, ২৩৬টি পাইল ক্যাপ, ২০টি ক্রস বিম, ১১৯টি কলাম এবং ১৫০টি আই গার্ডার নির্মাণ শেষ হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ এ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে।

(২) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া হয়ে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্প। প্রায় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি জি-টু-জি ভিত্তিতে নির্মাণে চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৭ সালে নভেম্বরে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়।

(৩) ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বালিয়াপুর হতে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি জি-টু-জি পদ্ধতিতে অর্থায়নসহ নির্মাণের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

(৪) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ৫ হাজার ৯৫১ কোটি ৪১ লাখ টাকা অর্থায়ন করবে এবং চীনা এক্সিম ব্যাংক ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করবে।

(৫) ঢাকা ইস্টওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প : এই প্রকল্পটি জি-টু-টি পদ্ধতিতে অর্থায়নসহ নির্মাণে মালয়েশিয়া সরকার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।