বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

যুবলীগ নেতার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১নং বর্ণি ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রেহান উদ্দিনের বাড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

রেহানের পরিবারের দাবি-রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর থেকে রেহান উদ্দিনের পরিবার চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বর্ণি ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে রেহান উদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করে এবং ঘরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। হামলার সময় রেহান উদ্দিনের মা ও দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রাণরক্ষায় পাশের বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেন।

যুবলীগ নেতা রেহান উদ্দিনের মা হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে বলেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা এসে হুমকি দিয়ে বলেছে-তোর ছেলে যদি দেশে থাকতো, তাহলে এখানেই তাকে হত্যা করতাম। সে যদি দেশে আসে, তাকে দেখে নেবো। এই পরিবারের কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম নেয়, তাহলে তাদের অস্তিত্ব মুছে দেবো।

জানা গেছে, মোহাম্মদ রেহান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০০৫ সালে বর্ণি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।

এলাকাবাসী জানান, রেহানের সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং পূর্বে কয়েকবার পুলিশ তাকে খুঁজতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

রেহান উদ্দিনের স্বজনদের অভিযোগ, দেশে আইনের শাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাদের ভাষায়, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের কথাই শুনছে। আমরা কোথায় গেলে ন্যায়বিচার পাবো?

এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আবুল কাশেম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।