নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সোনালী ব্যাংক পিএলসি বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপক রেজওয়ানা পারভেজের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকসহ সাধারণ গ্রাহকদের সাথে অসদাচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান ব্যাংক ম্যানেজার রেজওয়ানা পারভেজের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
গত সোমবার সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) অভিযোগ তদন্ত করেছেন। তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষকদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক বড়লেখা শাখায় রেজওয়ানা পারভেজ ম্যানেজার হিসেবে যোগদানের পরই গ্রাহকদের সাথে অসদাচরণ শুরু করেন। ব্যাংকিং সংক্রান্ত সমস্যার ব্যাপারে তার শরণাপন্ন হলে গ্রাহকদের তিনি অবমূল্যায়ন করেন। সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরাও তার আচরণে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোনালী ব্যাংকের বড় ক্লায়েন্ট। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিক্ষক নানা প্রয়োজনে ব্যাংকে যান। কোনো জটিলতা দেখা দিলে ম্যানেজারের কাছে গেলে শিক্ষকদের সাথে তিনি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যসহ স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন।
সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান অভিযোগ করেন, গৃহনির্মাণের জন্য তিনি সোনালী ব্যাংক পিএলসি বড়লেখা শাখা থেকে লোন তুলেন। প্রতিমাসের বেতন থেকে লোনের কিস্তি কেটে নেওয়া হচ্ছে। গত সরকারের রোষানলে তিনি চাকুরিচ্যুত হলেও লোনের কিস্তি পরিশোধে হেরফের করেননি। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে চারটি কিস্তি বকেয়া পড়ে। তাকে কিংবা তার লোনের গ্রান্টারকে অবহিত না করেই ম্যানেজার হঠাৎ তার লোনের গ্রান্টারের বেতন বন্ধ করে দেন। গ্রান্টারকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানে গেলে তিনি (ম্যানেজার) অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ ব্যাংকে গেলে তিনি তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। এমনকি ভুক্তভোগী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর মিথ্যা অভিযোগ প্রেরণ করেন।
সোনালী ব্যাংক বড়লেখা পিএলসি শাখার ম্যানেজার রেজওয়ানা পারভেজ বলেন, তিনি কোনো গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার করেননি। তার দাবি, লোন গ্রহীতা ও লোনের গ্রান্টার শিক্ষকদ্বয়কে অবহিত করেই তিনি সবকিছু করেছেন।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার কোনো গ্রাহকের সাথে অসদাচরণ করতে পারেন না। বিশেষ করে শিক্ষকদের সাথে অবশ্যই না। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজিএম-কে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।