সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ীতে জামায়াতের ইফতারে অতিথি আ.লীগ সভাপতি



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে অতিথির আসনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন পচাই। আওয়ামী লীগ নেতাকে অতিথি রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিবিরের সাবেক কয়েকজন নেতা ও কর্মী।

শনিবার (১৫ মার্চ) উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পাতিলাঙ্গন গ্রামে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত।

এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-১ আসনে (জুড়ী-বড়লেখা) জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

সেখানে ইফতার মাহফিলে অতিথির আসনে সাগরনাল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন (পচাই) কে দেখা যায়। ঐ ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত আরেক নেতা তজমুল আলীকেও দেখা যায়। আওয়ামীলীগ নেতাদের অতিথির আসনে বসা নিয়ে সাবেক শিবিরের নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আইয়ুব আলী, মো. হাকিম ও ফজল নামের সাবেক শিবিরের কর্মীরা জানান, বিগত ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী আমলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি কোনো ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে দেননি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে উনার ইন্ধনে রাতের ভোটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এই আওয়ামী সভাপতির জন্য বিগত দিনগুলোতে আমরা ইফতার মাহফিল করতে পারি নাই সঠিকভাবে। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলেও বাধা দিয়েছেন তিনি। স্বৈরাচারী হাসিনা পতনের পর এই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে দেখে কষ্ট হচ্ছে, লজ্জা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করেন আব্দুল মতিন পচাই। উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতে সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের কাছে নিজের গ্রুপ নিয়েও যান তিনি। এর পর রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সরকারের বরাদ্দকৃত মসজিদের রোড/সোলার লাইট নিজের বাড়িতে লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে আওয়ামীলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে।

এদিকে বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে জুড়ী-বড়লেখা আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাছির উদ্দীন মিঠুর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারনা করায় তৎকালীন সাগরনাল ইউনিয়ন বিএনপির’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদ রুলনকে আব্দুল মতিন পচাইয়ের নেতৃত্বে সিদ্দিকুর রহমান সুমন, সিপার, রাজু, সাজু, আরিয়ান মাহবুব ও ইমনসহ ভোটের দিন দিবালোকে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা করে আহত করে।

এবিষয়ে শাহীন আহমেদ রুলন বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় পাতিলাসাঙ্গন ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেয় আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আমি দেখে ফেলি এবং প্রতিবাদ করি। তখন সাগরনাল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন পচাইয়ের নেতৃত্বে মাখন চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান সুমন, সাজু, মাসুক, আরিয়ান মাহবুব, ইমনসহ তারা আমার উপর হামলা করে। এরপর আমি কুলাউড়ায় ৭ দিন, সিলেটে ১৭ দিন ও ঢাকায় ২৭ দিন আত্নগোপনে ছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে বাড়িতে ফিরতে পারিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আজিম উদ্দিনের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনিও রিসিভ করেননি।