নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেছেন, এই রাষ্ট্রের মালিকানা কখনও জনগণের ছিল না, অধিকারের জায়গা ছিল না। বরঞ্চ আমরা একটা জিম্মি দশায় ছিলাম। শেখ হাসিনা এই অধিকারটুকু একেবারে ক্ষুন্ন করে দিয়েছে। দেশের মানুষকে দাসে পরিণত করেছিল। আমাদের মাথা নত করে থাকতে হয়েছে। আমাদের অসংখ্য মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় ছাত্র-জনতা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের নতুন একটা দেশ দিয়েছেন।
প্রীতম দাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সদর ইউনিয়ন হলরুমে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি নাগারিক, আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত-জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রটা আগামিতে কীভাবে চলবে। কীভাবে এগিয়ে যাবে। আমরা যে আমাদের অধিকার পাব, তার নিশ্চয়তা কী। সেই জায়গাটা যদি আমরা এখন থেকে নির্ধারণ না করি, যদি আমরা শক্তভাবে না দাঁড়াই, তাহলে বিগত দিনে যেভাবে রাষ্ট্রটা জনগণের হাতছাড়া হয়েছে, একটি মাফিয়াদের হাতে গেছে, একটি চক্রের হাতে গেছে, সেই অবস্থা আবারও দেখবেন। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে আপনাদের স্বেচ্ছার হতে হবে। দেশকে সংস্কার করতে হবে। মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো দল যদি জনগণের ইচ্ছা বা আকাঙ্খা অনুযায়ী তৈরি না হয়, তাহলে তা কোনোদিন গণমানুষের দলে পরিণত হতে পারে না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বড়লেখা উপজেলা প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান ছামি ও তানভির আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি আইনজীবী ফাহাদ আলম, রুহুল আমিন, কবিরুল ইসলাম রুমন ও এহসান জাকারিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মারুফ আল হামিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট মদনমোহন কলেজের সাবেক সমন্বয়ক তামিম আহমদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ তোয়েল, ব্যবসায়ী আব্দুল হাছিব ও সৈয়দ আব্দুস সামাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বড়লেখা উপজেলা প্রতিনিধি আবু হাসান প্রমুখ। সিলেটের খাবার ও রেস্তোরাঁ