নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বেরেঙ্গা খাসিয়াপুঞ্জির চারটি পানজুমের তিন হাজার পান গাছ ও ৬০টি সুপারি গাছ কাটার ঘটনায় আল্লাদাত চা বাগানের ব্যবস্থাপকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার (১৭ মে) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। বেরেঙ্গা খাসিয়াপুঞ্জির ক্ষতিগ্রস্ত খাসিয়াদের পক্ষে অলমি খাসিয়া এই মামলাটি করেছেন।
মামলায় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আল্লাদাত চা বাগানের ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন (৫৫), বাগানের পাহারাদার নুর উদ্দন (৩২) ও আব্দুস সামাদ (৩০) এর নামোল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সুব্রত কুমার দত্ত বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘পান-সুপারির গাছ কাটা এবং চাঁদা দাবির ঘটনায় আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বড়লেখা থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
জানা গেছে, গত ০৮ মে আল্লাদাত চা বাগান কর্তৃক বেরেঙ্গা খাসিয়াপুঞ্জির পান ও সুপারি গাছ কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় পানচাষি অলমি খাসিয়া আল্লাদাত চা বাগানের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন, পাহারাদার নূর উদ্দিন ও আব্দুস সামাদের নামোল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে বড়লেখা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে ওই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রবিউল হক তদন্তে অবহেলার পাশাপাশি খাসিয়াদের ‘অসহযোগিতা’ করেন বলে খাসিয়ারা অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় খাসিয়ারা গত ১৪ মে শাহবাজপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এরপরও মামলা গ্রহণ না করায় পানচাষি অলমি খাসিয়া গত বুধবার (১৭ মে) বড়লেখা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে আল্লাদাত চা বাগানের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন খাসিয়াদের পান ও সুপারি গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, বেরেঙ্গাপুঞ্জির পান ও সুপারি গাছ কে বা কারা কেটেছে তা তিনি জানেন না।