হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল পাস হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। এরপর জেলাজুড়ে আনন্দ-উল্লাস শুরু হলেও কোন উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এনিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কমতি ছিল না দাবিদারদের।
অবশেষে জানা গেল হবিগঞ্জ জেলার কোন উপজেলায় হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশের সপ্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কর্তৃক উত্থাপিত এবং জাতীয় সংসদে পাশকৃত বিলটির তৃতীয় দফার ১নং উপ দফায় উল্লেখ রয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়।
এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কণ্ঠভোটে বহুল প্রতীক্ষিত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি পাস হয়। অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ থেকে একমাত্র এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ চারটি বড় দাবি উত্থাপন করেন এমপি আবু জাহির। পরে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।
এক পর্যায়ে বিগত ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। পরে বিলটি গত ২৩ জুন সংসদে উত্থাপিত হলে পরীক্ষাপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। অবশেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়।