হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চাল বিতরণের তালিকায় দৃশ্যমান দুর্নীতির অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলার ১১নং গজনাইনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০৭ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ডিলারকে দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা, মৃত ব্যক্তিকে ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত এবং বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ব্যক্তির মাঝে বিতরণ না করার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলো স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাবপত্র এই চিঠি প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান মুকুলের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (১০ টাকা কেজির চাল) আত্মসাতের দৃশ্যমান তালিকা নিয়ে অনিয়ম ছাড়াও হতদরিদ্র দুই মহিলার মাসিক ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তনাধীন রয়েছে।