হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বেশ কয়েকদিন ধরে বন্য শূকর হানা দিচ্ছে। রাত হলেই পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্ধানে এরা দল বেধে গ্রামে ঢুকে পড়ে। শূকররা দল বেধে এসে পাকা ধান, নতুন বাঁশের চারা, কৃষিজমির নানা রকম ফসলাদি সাবাড় করে দিচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার সুরাবই, পুরাসুন্দা ও লাদিয়া গ্রামে এসব হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ বেড়েছে। এমনকি গ্রামে ঢুকে খাবার না পেলে রাতের আঁধারে মানুষের ঘরে ঢোকারও চেষ্টা করছে শূকরের দল। ফলে আতংকে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।
সুরাবই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্য শূকরের আক্রমণে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরা খুবই হিংস্র প্রাণী। এদের থেকে বাঁচার পথ দেখছি না।
পুরাসুন্দা গ্রামের ফারুক মিয়া জানান, গ্রামের পাশেই পাহাড় থাকায় এদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এদের জন্য আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সুরাবই গ্রামের কুদ্দুছ মিয়া জানান, প্রায় ৮-১০ বছর আগে সুরাবই গ্রামে শূকর একবার হানা দিয়েছিল। পরে প্রশাসনের সহায়তায় একটি প্রাণীকে হত্যা করা হয়েছিল।
নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিরাতে পার্শ্ববর্তী রঘুনন্দন পাহাড় থেকে খাবারের সন্ধানে দল বেধে বন্য শূকর গ্রামে হানা দেয়। এতে ফসল ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ওয়াইল্ড লাইফ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ বলেনি। এখনই শুনলাম। তবে মনে হয় শূকররা বনে ঠিকমতো খাবার না পেয়ে গ্রামে চলে আসছে খাবারের সন্ধানে। গ্রামের মানুষ শূকরের দলকে ভয় দেখালে আর আসবে না। আমি আমাদের বন প্রহরিদের আরও সর্তক হতে বলব।