কলেজে যাওয়ার সময় পাশের এলাকার যুবক রুহানের সঙ্গে প্রেমে জড়ান তরুণী নুসরাত জান্নাত জেবিন। প্রেমিকার বাড়িতে রাতের আধারে আসতেন রুহান। গোপন সাক্ষাতের ছবি ও ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করতেন। সেই রাতের দৃশ্যে বলিয়ান ছিলেন প্রেমিক। সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে সেসব দৃশ্য ফাঁসের হুমকি দেন। আর তাতেই জেবিন আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
রোববার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৌর শহরের উত্তর লস্করপুর এলাকায় নিজ কক্ষ থেকে জেবিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জেবিন ওই এলাকার দুবাই প্রবাসী ওয়াজ উদ্দিনের বড় মেয়ে। অভিযুক্ত প্রেমিক রুহান মিয়া পৌর শহরের উত্তর জয়পাশা গ্রামের ধলা মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, কুলাউড়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া জেবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গঠে তুলেন রুহান। সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রেমিকার বাড়িতে রাতে আসতেন প্রেমিক। রাতে আসা-যাওয়ার সময় জেবিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করতেন তিনি। এরপর এলাকাবাসী রুহানকে বেশ কয়েকবার আটক করেন। এ নিয়ে পরিবার ও প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এতে ক্ষিপ্ত প্রেমিক রাতে রেকর্ড করা ছবি ও ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করার হুমকি দেন। সেই হুমকি পেয়ে জেবিন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত জেবিনের ছোট ভাই সালাউদ্দিন বলেন, রুহানের প্ররোচনায় বোন জেবিন আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে পুলিশে কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত এসপি (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর বলেন, রুহানের প্ররোচনায় জেবিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।