হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুদরত আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার সুরাবই গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত কুদরত আলী সদর উপজেলার দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের দাবি- নিহত কুদরত আলী আন্তবিভাগ ডাকাত সর্দার। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী সুরাবই গ্রামের ফজলু মিয়ার বাঁশ বাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে শায়েস্তাগঞ্জ থানা ও ডিবি পুলিশ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাতরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহতের নাম কুদরত আলী বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, রডসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহারের সরঞ্জমাদি উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে ডাকাত দলের হামলায় ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই মোজাম্মেল হক, কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন, নূরুল ইসলাম, রনি কর ও রিপন আহত হন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, নিহত ডাকাত সর্দার কুদরত সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করতো। তার বিরুদ্ধে মোট ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। কুদরত আন্তবিভাগীয় ডাকাত সর্দার।