মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতন করে নগ্ন ছবি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলীকে গ্রেফতার করে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে কুলাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ফুফু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ জুলাই ওই ছাত্রীকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি প্রদানে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী। এ সময় প্রধান শিক্ষক অফিসের দরজা বন্ধ করে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে ছাত্রীর পিঠে ও হাতের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়।
ঘটনার তিনদিন পর বুধবার স্কুলছাত্রীর পিঠের জখম দেখার কথা বলে পরনের জামা খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন প্রধান শিক্ষক। সেই সঙ্গে মোবাইলে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন তিনি। এসব কথা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, কাউকে কিছু বললে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরে বিষয়টি জেনে থানায় মামলা করে ছাত্রীর পরিবার।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুর উদ্দিন বলেন, একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।