সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
২০০৮ সালে সিলেট-৬ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম নাহিদ। টানা দুই মেয়াদে তিনি সিলেট-৬ আসনের উন্নয়নে রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
এ আসনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন জানিয়ে গতকাল নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মুবিন চৌধুরী। সম্প্রতি বিএনপি থেকে বিকল্পধারায় যোগ দেয়া শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে মহাজোটের মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রতীক ‘কুলা’ নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি গতকাল লাতু এক্সপ্রেসকে বলেন, যেহেতু বিকল্প ধারা মহাজোটের সাথে রয়েছে। মহাজোটের স্বার্থেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। নির্ধারিত সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এখন মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারছিনা। তবে নির্বাচনী মাঠে আমি থাকবো না।
অপরদিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ধানের শীষের ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
এদিকে আজ সোমবার দৈনিক সমকালে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ‘সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে জয়-পরাজয়ে যত ফ্যাক্টর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১০টিতে মহাজোটের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হারতে পারেন, দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী ঝুঁকির মুখে। আর বাকি পাঁচটি আসনের ব্যাপারে জয়-পরাজয়ের কিছু ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ করা হলেও কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়-
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জয়ের ব্যাপারে এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এর কারণ হিসেবে বলা হয়, সিলেটের মধ্যে এ আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সবচেয়ে বেশি। কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সরোয়ার হোসেনের ভূমিকা নাহিদের বিপক্ষে যেতে পারে। এ ছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নুরুল ইসলাম নাহিদের যোগাযোগ কম। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলীয় কোন্দল নিরসনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়, গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। সেখানকার ভোট ব্যাংক কাজে লাগাতে হবে। অ্যান্টি-জামায়াত ইস্যু কাজে লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাহিদকে সমর্থন দিয়েছে। এটা কাজে লাগানো যেতে পারে।
এ আসনে চরমোনাই মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে আজমল হোসেন, মটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া মিলু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৫ জন।