একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরাও দেশের বাইরে থেকে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। পোস্টাল ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এই সুবিধা চালু করা হয়েছে। ব্যালট পেপারের জন্য বিদেশ থেকে ডাকযোগে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে দরখাস্ত করতে হবে।
দরখাস্ত ডাকযোগে বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর প্রবাসীর দেয়া বিদেশের ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। তারপর পছন্দের প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় ডাকযোগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ৩০ ডিসেম্বরের আগে ফেরত পাঠাতে হবে।
প্রবাসী যাদের বাংলাদেশের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আছে, যারা নির্বাচনের সময়ে ভোট দিতে বাংলাদেশে যাবেন না এবং পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ভোট দিতে আগ্রহী, তাদের শিগগিরই নিজ নিজ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে (জেলা প্রশাসক) পোস্টাল ব্যালটের জন্য দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
দরখাস্তে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নম্বর, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অপর পৃষ্ঠায় থাকা ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। বিদেশে যে ঠিকানায় ব্যালট পেপার পাঠাতে হবে ওই ঠিকানা অবশ্যই দরখাস্তে উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যে খামে করে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে তার ডাক টিকেট খরচ নির্বাচন কমিশন বহন করবে। প্রবাসীরা ব্যালট পেপারের জন্য যে দরখাস্ত পাঠাবেন, তার ডাকটিকেট খরচ প্রবাসীদের বহন করতে হবে।
এদিকে ভোট দিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে আলাদাভাবে জমা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মরত অরাজনৈতিক সংগঠন প্রবাসী বাঙালি কল্যাণ সমিতি (প্রবাকস)। ভোট দিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে প্রদত্ত দরখাস্তের কপি প্রবাকসের কো-অর্ডিনেটর ওমর আলীর কাছে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে (omarali1971@gmail.com) পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট গ্রহনের জন্য সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে গত ২০১৮ সালের ২৩ মে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রবাসী বাঙালি কল্যাণ সমিতি (প্রবাকস)। ওই সময় তিনি বলেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগ্রহী প্রবাসীদের জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে বিদেশ থেকে আবেদন করতে হবে।