শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে নাহিদেই আস্থা আ’লীগের
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী- এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত দ্বিধায় ছিলেন খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলটির ১২ নেতা এবার মনোনয়ন চেয়েছেন। তার উপর আওয়ামী লীগের সাথে যুক্তফ্রন্টের জোট আর ওই ফ্রন্টে সমশের মবিন চৌধুরীর যুক্ত হওয়ায় শঙ্কায় ছিলেন নেতাকর্মীরা।

দলীয় কোন্দল আর জোটের দাবি মেটাতে এই আসনে এবার সমশের মবিন নৌকার প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিলো। এতে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে নাহিদেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগের। এই আসন থেকে বারবার নির্বাচিত নাহিদকে দেওয়া হয়েছে দলীয় মনোনয়ন।

রোববার (২৫ নভেম্বর) সকালে মনোনয়ন সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষরিত চিঠি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য।

গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট -৬ আসন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মরহুম আবদুর রহিম । ১৯৭৯ সালে ২য় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মরহুম লুৎফর রহমান এ আসনে বিজয়ী হন। সেই থেকে প্রায় দেড় যুগ ধরে আসনটি বিএনপি, জাপা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল।

এরপর ১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে এই আসনটি আওয়ামী লীগ ফিরে পায় । এরপর নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও আবার ২০০১ সালে হাতছাড়া করে আওয়ামী লীগের।

২০০৮ সালে ৯ম সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর পর টানা প্রায় ১০ বছরে এ আসনটি আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দখলে।

এ আসনে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯০৩ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৬ পুরুষ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭ জন।

প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।