একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের একাংশ) আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, কে হাসবেন শেষ হাসি এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বর্তমান সাংসদ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান?
চা-বাগান অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু আলোচনায় রয়েছেন এই দুই জন।
দুই সম্ভাব্য প্রার্থীর সমর্থকরা স্ব স্ব প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমন প্রত্যাশা নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক প্রচারণা ও পরস্পরের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তিন বারের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এএসএম আজাজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম প্রকাশে আশাবাদী বলে দাবি করেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীতা চুড়ান্ত না হলেও সমর্থকদের নিয়ে সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহ পরান (র.) মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন উপাধ্যক্ষ ড. এমএ শহীদ।
বর্তমান সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. এমএ শহীদ জানান, তিনি টানা ৫ বারের সাংসদ। এলাকার ব্যাপক উন্নয়নে এবং নিজ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে এলাকার নেতাকর্মীদের সমর্থনের কারনেই দল চুড়ান্ত মনোনয়ন দিবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।
অপরদিকে অধ্যাপক রফিকুর রহমান ঢাকায় অবস্থান করলেও তাঁর সমর্থকরা মাজার ও মসজিদ মাদ্রাসায় দোয়া প্রার্থনা করে চা বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক রফিকুর রহমান জানান, দলীয় প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। তিনি আশাবাদী তাকে মৌলভীবাজার-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।
দু’টি উপজেলা (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের একাংশ) শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়নের এবং কমলগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৯৫ জন।
প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।