নিজস্ব প্রতিবেদক:: কুলাউড়ায় অফিস সময়ে নিজ কার্যালয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. তারেক বিন ইসলাম বড়লেখায় নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। ৮ আগস্ট তিনি বড়লেখা উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
তবে, এরই মধ্যে নুতন কর্মস্থলে তাকে অফিস সময়ে অফিসে না পাওয়া ও পেলেও সেবাপ্রার্থীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে মো. তারেক বিন ইসলাম কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। প্রতিদিনই সরকারি অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে নির্দ্বিধায় সিগারেট টানতেন এ কর্মকর্তা। প্রায়ই দেখা যেতো- তার এক হাতে সিগারেট, অন্য হাতে ঠিকাদার ও সেবাগ্রহীতাদের ফাইল দেখছেন ও সই করছেন। দূর-দূরান্তের সেবাগ্রহীতারা আবেদন-নিবেদন নিয়ে আসলে তার সিগারেট পানের কারণে অস্বস্থি বোধ করতেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও তিনি এর তোয়াক্কা করতেন না।
সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, প্রকৌশলীর কক্ষে গেলে সিগারেটের দুর্গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকা দায় হয়ে পড়তো। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেনো তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেই যেতেন। ইতিপূর্বে কোনো এক ক্ষুব্দ সেবাগ্রহীতা অফিসে বসে তার আয়েশি ধুমপানের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে ওই প্রকৌশলী ভাইরাল হন। তার এই সিগারেট কান্ডে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বেশ সমালোচিত হলে এসময় এলজিইডির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তাকে কৈফত তলব ও তার কার্যালয় পরিদর্শণ করেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এলজিইডি ৪ আগষ্ট কুলাউড়া থেকে তাকে বড়লেখায় বদলি করে। ৮ আগষ্ট তিনি বড়লেখায় যোগদান করেন।
বড়লেখায় যোগদানের পর নিজ কার্যালয়ে প্রকাশ্যে ধুমপান করতে দেখা না গেলেও সেবাগ্রহীতাদের উপেক্ষা করে বাহিরে গিয়ে সিগারেট পানে মগ্ন থাকতে দেখা গেছে। এরপর অফিসে ঢুকার পর সেবাগ্রহীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার উপজেলার দাসেরবাজারের পানিসাওয়া গ্রামের একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইস্কুল শিক্ষক কানাডা ভিজিট ভিসার প্রয়োজনে সম্পত্তির ভেল্যুয়েশন সার্টিফিকেট নিতে গেলে তিনি এককথায় দিবেন না বলে প্রবীণ এই শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ করেন। আরো কয়েকজন সেবাপ্রার্থী অভিযোগ করেন অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় না। বহু অপেক্ষার পর পাওয়া গেলে চরম উগ্র ব্যবহার করেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. তারেক বিন ইসলাম জানান, ৮ আগষ্ট তিনি বড়লেখায় যোগদান করেছেন। অফিসে বসে তিনি সিগারেট পান করেন না এবং কারো সাথে অসদাচরণও করেননি।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গালিব চৌধুরী জানান, সরকার জনগণের সেবা প্রদানের জন্য আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছে। কারো সাথে অসদাচরণের কোনো সুযোগ নেই। উপজেলা প্রকৌশলী যোগদানের পর একদিন তার সাথে দেখা হয়েছে। এব্যাপারে তাকে ডেকে এনে তিনি বিষয়টি জানবেন।