নিজস্ব প্রতিবেদক:: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যসচিব তামিম আহমেদ বলেছেন, ঢাকায় এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা আইয়েম জাহেলিয়াতের যুগকেও হার মানিয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যূত্থান পরবর্তী সময়ে সারা দেশ যখন ঐক্যবদ্ধ তখন একটি দল সেই ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য ব্যস্ত রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে, যদি এই দেশের অপামর ছাত্র-জনতা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তারা চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারবে না।
তিনি সারাদেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরশহরে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, এনসিপি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তামিম আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই-আওয়ামী লীগ সময়ের সাথে সাথে মাটির সাথে মিশে গেছে। তারা এ দেশের ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে, তার শাস্তি তারা পেয়েই গেছে। এখন যদি কেউ নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের চেষ্টা করে, তবে তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের চাইতে আরও খারাপ হবে।
বড়লেখার ছাত্রসমাজের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এখানকার ছাত্রজনতা প্রমাণ করেছে, কোনো রক্তচক্ষু তাদের দমাতে পারে না। কেউ যদি নতুন করে ফ্যাসিস্ট শক্তি তৈরি করতে চায়, তাদেরকেও আমরা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
তামিম আহমেদ আরও বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি জুলাই ঘোষণাপত্রে কারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঐকমত কমিশন বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে, সেই নীতিতে কারা বাধা দিচ্ছে। এখন কাদের মদদে ট্যান্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন চলছে, তাও আমরা জানি। আপনি যদি আপনাদের দলকে কন্ট্রোল করতে না পারেন, তাহলে এদেশের ১৭ কোটি মানুষকে কন্ট্রোল করবেন কীভাবে?
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা সমতার ভিত্তিতে, সাধারণ ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। এই দেশে আর কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে না। ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছে। কোথাও অন্যায় হলে তারা রাজপথে দাঁড়িয়ে তা প্রতিরোধ করবে, ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বড়লেখা উপজেলার সমন্বয়ক আবু হাসান, শিক্ষার্থী আশরাফ মাহমুদ রাহী, আব্দুস সামাদ সাঈদ, রয়হান আহমদ ও আব্দুর রহমান প্রমুখ।




