নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসুক আহমদসহ ১২ জন প্রায় ৯ বছর পর মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার জনাকীর্ণ আদালতে তাদের খালাস প্রদান করেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান ভুইয়া।
আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ বোর্ডের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আকবর আলী। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বোর্ড আসুক আহমদকে নির্বাচিত করে। সচিব আকবর আলী নির্বাচিত প্রধান শিক্ষক আসুক আহমদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (প্রধান শিক্ষক পদে অকৃতকার্য) শাহীদুল ইসলাম তার কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটান। একপর্যায়ে তিনি নিয়োগ বোর্ডের সচিব আকবর আলীকে শারীরিবকভাবে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষুব্ধ জনতা শাহীদুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পরে নির্বাচিত প্রধান শিক্ষক আশুক আহমদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন (পি-৮৫/১৬) মামলা করেন। ওই মামলায় শিক্ষক আসুক আহমদ হাজতবাসও করেন। অবশেষে স্বাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় আদালত তিনি-সহ সকল আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আসুক আহমদ জানান, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময় তিনি প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ববর্তী কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন। মামলার বাদি আমার সাথে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে টিকতে পারেননি। আমি যাতে যোগদান না করি এর জন্যই শাহীদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করেন। পুলিশের একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবুও তিনি বারবার আদালতে না-রাজি পিটিশন দিয়ে বিচারকার্য দীর্ঘায়িত করেছেন, আমাদেরকে হয়রানি করেছেন। স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত মিথ্যা মামলার প্রমাণ পাওয়ায় আমি-সহ সব আসামিকে বেখসুর খালাসের রায় দিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট আবু নছর মোহাম্মদ মাসহুদ জানান, বড়লেখার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলামের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে প্রধান শিক্ষক আসুক আহমদ-সহ সকল আসামি খালাস পেয়েছেন।
