নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হওয়া দুই যুবলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তাদের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের ভাগনা ও বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদ।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে সৌদি যেতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে দুই যুবলীগ নেতা আটক হন। পরে রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওই রাতে তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বড়লেখা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদ সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে সিলেট বিমানবন্দরে যান। পরে বিকাল ৫টার দিকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁদের আটক করে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই যুবলীগ নেতাকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট বড়লেখা পৌর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদার বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণহত্যা দিবস ও কালো পতাকা মিছিল চলাকালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে। ওই সময় পৌর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদারকে কুপিয়ে গুরতর আহত করা হয়েছিল। মামলায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ৬ নম্বর এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদকে ৩১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী শনিবার বিকালে জানান, বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও এক যুবলীগ নেতা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। রাতে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা রয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।