নিজস্ব প্রতিবেদক:: কারফিউ পরিস্থিতি শিথিল হলেও মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বুধবার কয়েকটি ব্যাংকের শাখা খোলেনি। ফলে জরুরী প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পেরে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য কয়েকটি ব্যাংক খোলা ছিল। এতে গ্রাহকরা লেনদেন করতে পেরেছেন। তবে ইন্টারনেট না থাকায় ব্যাংকিং কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলমান কোটা আন্দোলন ও কারফিউ জারির কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সারা দেশে তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ফলে সারা দেশের মতো বড়লেখায় বিভিন্ন ব্যাংক বন্ধ ছিল। এদিকে গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলেছে, যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব ব্যাংকের কিছু শাখা বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা ও সীমিত আকারে সেবা প্রদান করার কথা বলা হয়। কিন্তু বড়লেখায় কিছু ব্যাংক নির্দেশনা মেনে বুধবার ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে। তবে বড়লেখা ডাচ-বাংলা, ইসলামি, প্রাইম, এসআইবিএল ব্যাংক খোলা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, বুধবার দুপুরে এসব ব্যাংকের সামনে গ্রাহকরা ভীড় করছেন। জরুরী প্রয়োজনে অনেকে টাকা তুলতে এসে ব্যাংক বন্ধ পাচ্ছেন। যার কারণে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া সোনালী, জনতা, পূবালী, কৃষি, এনসিসি, ইউসিবি ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংক খোলা ছিল। তবে ইন্টারনেট না থাকায় সেসব ব্যাংকের কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়।
বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, গত তিনদিন সাধারণ ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। জরুরী প্রয়োজনে বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারেননি তারা। আজকে (বুধবার) তারা আশা করেছিলেন ব্যাংক খুলবে। তারা টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু ব্যাংক বন্ধ থাকায় তারা পারেননি। তবে খোলা থাকা কিছু ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা টাকা তুলতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় ব্যাংক চালু করেননি বলে জানিয়েছেন বড়লেখা ডাচ-বাংলা, ইসলামি, প্রাইম, এসআইবিএল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বড়লেখা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার মো. শহীদুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় ব্যাংক চালু করেননি। নির্দেশনা পাওয়া গেলে ব্যাংক চালু করবেন। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।