রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

পেশা বদলেও আয় বাড়েনি মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের!



বিজ্ঞাপন

এ. জে লাভলু:: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিনের (নৌকা) পেশা বদলেছেন। বর্তমানে তাঁর পেশা রাজনীতি। তবে এই পেশা থেকে তাঁর বার্ষিক কোনো আয় নেই। অবশ্য মন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামার তথ্য অনুয়ায়ী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন উদ্দিন বিএ পাস। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি হলফনামায় পেশা কৃষি হিসেবে উল্লেখ করলেও বর্তমানে তাঁর পেশা রাজনীতি। তবে রাজনীতি থেকে তাঁর বছরে কোনো আয় নেই। কৃষিখাত থেকে তাঁর বছরে আয় হয় ৫০ হাজার টাকা, যা তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের বছরে চাকরি ও অন্যান্য পেশা থেকে আয় ৫ লাখ টাকা। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই, অতীতেও ছিল না। তাঁর কোনো দেনা বা ঋণ নেই।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের কাছে নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে নির্বাচনী হলফনামায় তিনি তাঁর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ২২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৯৭ হাজার ১৮৬ টাকা। তাঁর একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ৮৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ৬০ হাজার টাকার আসবাব ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী, একটি পিস্তল ও একনলা একটি বন্দুক রয়েছে, এগুলোর মূল্য ৪৭ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মন্ত্রীর পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে ১ লাখ টাকা মূল্যের কৃষি জমি আছে এবং ঢাকার উত্তরা এলাকায় তাঁর নামে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা মূল্যে অকৃষি জমি এবং যৌথ মালিকানার একটি বাড়ি রয়েছে।

হলফনামায় নির্বাচনের আগে দেওয়া তাঁর চারটি প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে বড়লেখা-জুড়ী উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ৮০ ভাগ গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণ, ৮০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ এবং চলমান কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথের কাজ ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেছেন।