নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহিদ আহমদ (২৪) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি পেশায় ওয়ার্কশপ মেকানিক ও উপজেলার ঘোলসা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবার করা হত্যা মামলায় পুলিশ এজাহার নামিয় আসামি মাজেদ হোসেন ওরফে কাওছার আহমদকে (১৮) সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মাজেদ একই গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওয়ার্কশপ মেকানিক জাহিদ আহমদের নিকট গ্রামের মামুন আহমদের ৫০০ টাকা পাওনা ছিল। এব্যাপারে মামুন আহমদ গ্রামের সমছুল ইসলামের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। গত শনিবার রাতে সমছুল ইসলাম ও তার ছেলে রুবেল আহমদ এবং সুবেল আহমদ ঘোলসা লেবেন্দু বাজারস্থ ছামাদের দোকানে গিয়ে জাহিদ আহমদকে আটকে মামুন আহমদের টাকার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জাহিদ আহমদ দুই দিন আগেই টাকা পরিশোধ করেছে বললেও তারা বিশ্বাস করেনি। একপর্যায়ে সমছুল ইসলাম গং মুখে কিল-ঘুষি মেরে জাহিদকে রক্তাক্ত জখম করে। বাজারের লোকজন জাহিদকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করেন এবং হামলাকারীদের ভৎর্সনা করলে তারা বাজার থেকে চলে যায়। প্রায় দেড়ঘন্টা পর জাহিদ আহমদ বাজার খরচ করে ঘোলসা লেবেন্দু বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। ঘোলসা রেলওয়ে মসজিদের সম্মুখের রাস্তায় পৌঁছলে সমছুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা অতর্কিতভাবে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে জাহিদকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরদিন রোববার সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই জাহিদ আহমদের মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত জাহিদ আহমদের পিতা আব্দুল আজিজ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামিয় আসামি মাজেদ হোসেন ওরফে কাওছার আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে।
বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম জানান, জাহিদ আহমদ হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।